মে দিবসে সমাবেশের প্রস্তুতি শেষ, বিশাল শোডাউনের পরিকল্পনায় বিএনপি

- আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৪ বার পড়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ১ মে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। প্রস্তুতি শেষ।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে একটি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, সমাবেশ আয়োজনের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সমাবেশ থেকে তাদের ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করবে। রাজধানীজুড়ে লিফলেট বিতরণ, ব্যানার-ফেস্টুন টানানো এবং প্রচার-প্রচারণা চলছে।”
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।
সমাবেশকে সফল করতে এরই মধ্যে কয়েক দফায় প্রস্তুতি সভা করেছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। মহানগর ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও শিল্পাঞ্চল থেকেও নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়েছে দলীয় সূত্রে।
রাজধানীজুড়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নয়াপল্টন, গুলশান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে সমাবেশে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এটি একটি বড় রাজনৈতিক শোডাউন হিসেবে বিবেচনা করছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “স্বৈরাচার আমলেও আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল। এবারও সর্বোচ্চ জমায়েতের আশা করছি।” তিনি বলেন, “এই সমাবেশ শুধু একটি দিবস উদযাপন নয়, এটি শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, মঞ্চ নির্মাণ প্রায় শেষ। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি আগামীকালকের সমাবেশ হবে ইতিহাসের স্মরণীয় এক আয়োজন।”
এদিকে, জনসভার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচলে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—সমাবেশে যেন বক্তব্যের ক্ষেত্রে সকলেই দায়িত্বশীলতা বজায় রাখেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, “আগামীকালকের সমাবেশ হবে স্মরণকালের সেরা শ্রমিক সমাবেশ। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের হতাশার পর এবার তারা আশায় বুক বেঁধেছে—ভবিষ্যতে একটি পরিবর্তন আসবে। এ প্রত্যাশা থেকেই লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আমরা আশাবাদী।