শ্যামলী- 59/1 A/A, বড়পাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ। ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এনাম উদ্দিন
  • আপডেট সময়ঃ ১১:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১১২ বার পড়া হয়েছে।

জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সেপ্টেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এসব দিবস বাতিলের প্রয়োজনীয়তা সিদ্ধান্ত নিয়েছে  সরকার।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার সংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।
এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে শেখ হাসিনার সরকার।
পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। ২০২৩ সালে তা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আপডেট সময়ঃ ১১:০০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সেপ্টেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এসব দিবস বাতিলের প্রয়োজনীয়তা সিদ্ধান্ত নিয়েছে  সরকার।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার সংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।
এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে শেখ হাসিনার সরকার।
পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। ২০২৩ সালে তা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।