জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ

- আপডেট সময়ঃ ০৫:১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ১ বার পড়া হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পায়রা চত্বরে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি এবং জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছান মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো নেতাকর্মী জড়িত কিনা।
রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সেখানে তিনি ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক মেয়রকে পুনর্বহালের দাবিতে একটি মিছিল হয় এবং সরকারের বিরোধী দলের বৈধতা প্রসঙ্গেই আন্দোলন হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে দুর্নীতির মাধ্যমে জয়লাভ করেছে এবং জাতীয় পার্টি ডামি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া জিএম কাদেরের ভারত সফর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন কাইয়ুম এই সময় স্পষ্ট করে জানান, “যতক্ষণ শরীরে রক্ত আছে, দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন কাউকে সেনাবাহিনী প্রশ্রয় দেবে না।” তিনি বলেন, “যারা জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করে, নাশকতা বা ভাঙচুরে যুক্ত হয়, তাদের জন্য এখন কোনো সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আলোচনার শেষে সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের স্বার্থে যে কোনো দলের নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে, তবে তা যেন দিনের আলোতে হয়। তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভ চলাকালে প্রথম হামলা চালায় জাতীয় পার্টির সমর্থকেরা এবং লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। হামলার ভিডিও ফুটেজ তাদের হাতে আছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, “কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশের ক্ষতি করে, সেনাবাহিনী তা মেনে নেবে না। শান্তি রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। কারা হামলায় জড়িত, তা শনাক্ত করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা সহযোগিতা করবেন। নির্বাচনের আগে যেন আর কোনো সহিংসতা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।”