দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নাম পরিবর্তনে বিপাকে সৌদিগামীরা

- আপডেট সময়ঃ ১০:১৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তিগঞ্জ’ করায় ভিসা জটিলতায় পড়েছেন সৌদিগামী শ্রমিকরা । ২০০৬ সালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ গঠিত হলেও ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ফ্যাসিস্ট সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এটি পরিবর্তন করে নিজ গ্রামের বাজারের নামে উপজেলার নামকরণ করেন ‘শান্তিগঞ্জ’।
এ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয় প্রশাসনিক জটিলতা, যা বর্তমানে প্রবাসীদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্তিগঞ্জ নামে গেজেট প্রকাশের পর প্রশাসনিক কাজকর্মে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় নাগরিকদেরও। বিশেষত, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জÑ এ দ্বৈত নাম থাকার কারণে সৌদি আরবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে ইচ্ছুক প্রবাসীরা বর্তমানে চরম বিপাকে রয়েছেন। পাসপোর্টে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উল্লেখ থাকলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে শান্তিগঞ্জ লেখা থাকায় সৌদি দূতাবাস ই- ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ফলে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউবা মেডিকেলের মেয়াদ হারিয়ে ফেলছেন। প্রতিদিন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এর কোনো সমাধান মিলছে না।
ভুক্তভোগী নাহিদ হাসান বলেন, পাসপোর্টে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আর পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে শান্তিগঞ্জ লেখা থাকায় সৌদি দূতাবাস ভিসা দিচ্ছে না। আমরা এখন থানার প্রত্যয়নপত্র নিয়ে জমা দিচ্ছি; কিন্তু সমাধান হবে কি না জানা নেই।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ভিসার জন্য জায়গাজমি বিক্রি করে ট্রাভেল এজেন্সিকে ৩-৪ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন যদি ভিসা না পাই বা টাকা ফেরত না আসে, তাহলে সংসার চালাব কীভাবে?
সামিয়া ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী শামীম আরশাপ বলেন, আমার এখানে অনেকে এসে সৌদির ই-ভিসা পেতে ফাইল জমা দিয়েছেন। আমরাও নিয়মমাফিক সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কারিগরি সনদসহ ভিসার পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট নিয়ে আবেদন করেছি। পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে উপজেলার নাম হুবহু মিল না থাকায় ই-ভিসা পাচ্ছেন না সৌদিগামী শ্রমিকরা। এভাবেই এ উপজেলার শত শত ই-ভিসা আটকে আছে সৌদি দূতাবাসে। বিষয়টি নিয়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সৌদি শ্রমবাজার থেকে বঞ্চিত হবে এ উপজেলার শত শত মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।