শ্যামলী- 59/1/A, বড়পাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ। ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটারের অভিনয় কর্মশালা সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নতুন উদ্যম এনে রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটার আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অভিনয় কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

৩০ মে শুক্রবার ও ৩১ মে শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অংশ নেন স্থানীয় নাট্যকর্মী, শিক্ষার্থী, ব্যাংকার ও সংগীতশিল্পীসহ মোট ২০ জন প্রশিক্ষনার্থী ।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজ, হবিগঞ্জ-এর উপাধ্যক্ষ ও খ্যাতনামা নাট্যশিক্ষক মো. জালাল উদ্দীন রুমি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অভিনয়ের মৌলিক রীতি, শরীর ও কণ্ঠ নিয়ন্ত্রণ, মঞ্চভাষা, নাটকীয় উত্তেজনার প্রকাশসহ আধুনিক নাট্যচর্চার নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন।

দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খলিল রহমান, থিয়েটার সুনামগঞ্জ এর দলপ্রধান দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, বন্ধন থিয়েটার এর সভাপতি সামির পল্লব, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমনদোজ্জা আহমেদ । তাঁরা রঙ্গালয়ের এ প্রয়াসকে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে উল্লেখ করেন।

রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটারের সভাপতি মেহেদী হাসান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন,“নাট্যচর্চা শুধুই বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি হচ্ছে এক ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা। আমরা চাই—এই অঞ্চল থেকে উঠে আসুক এমন সব নাট্যকর্মী, যারা সমাজের মুখপাত্র হয়ে উঠবে, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কষ্ট, স্বপ্ন—সবকিছু মঞ্চে তুলে ধরবে।”

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জানান যে, এই আয়োজন তাদের অভিনয় দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং মঞ্চে আত্মপ্রকাশের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।

সুনামগঞ্জে শিল্পচর্চা ও নাট্যভাষার নবযাত্রায় রঙ্গালয়ের এ আয়োজন নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল বলেন,
“আমরা চাই নাট্যচর্চার এই ধারা অব্যাহত থাকুক। তরুণদের মধ্যে শিল্পবোধ, সামাজিক সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ গড়ে তুলতে এই ধরনের প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। রঙ্গালয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটারের অভিনয় কর্মশালা সম্পন্ন

আপডেট সময়ঃ ০৯:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নতুন উদ্যম এনে রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটার আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অভিনয় কর্মশালা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

৩০ মে শুক্রবার ও ৩১ মে শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অংশ নেন স্থানীয় নাট্যকর্মী, শিক্ষার্থী, ব্যাংকার ও সংগীতশিল্পীসহ মোট ২০ জন প্রশিক্ষনার্থী ।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজ, হবিগঞ্জ-এর উপাধ্যক্ষ ও খ্যাতনামা নাট্যশিক্ষক মো. জালাল উদ্দীন রুমি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের অভিনয়ের মৌলিক রীতি, শরীর ও কণ্ঠ নিয়ন্ত্রণ, মঞ্চভাষা, নাটকীয় উত্তেজনার প্রকাশসহ আধুনিক নাট্যচর্চার নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন।

দুই দিনব্যাপী কর্মশালার শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খলিল রহমান, থিয়েটার সুনামগঞ্জ এর দলপ্রধান দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, বন্ধন থিয়েটার এর সভাপতি সামির পল্লব, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমনদোজ্জা আহমেদ । তাঁরা রঙ্গালয়ের এ প্রয়াসকে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে উল্লেখ করেন।

রঙ্গালয় সুনামগঞ্জ থিয়েটারের সভাপতি মেহেদী হাসান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন,“নাট্যচর্চা শুধুই বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি হচ্ছে এক ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা। আমরা চাই—এই অঞ্চল থেকে উঠে আসুক এমন সব নাট্যকর্মী, যারা সমাজের মুখপাত্র হয়ে উঠবে, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কষ্ট, স্বপ্ন—সবকিছু মঞ্চে তুলে ধরবে।”

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জানান যে, এই আয়োজন তাদের অভিনয় দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং মঞ্চে আত্মপ্রকাশের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।

সুনামগঞ্জে শিল্পচর্চা ও নাট্যভাষার নবযাত্রায় রঙ্গালয়ের এ আয়োজন নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল বলেন,
“আমরা চাই নাট্যচর্চার এই ধারা অব্যাহত থাকুক। তরুণদের মধ্যে শিল্পবোধ, সামাজিক সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ গড়ে তুলতে এই ধরনের প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। রঙ্গালয়ের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”