শান্তিগঞ্জে গভীর রাতে বৈদ্যুতিক বাল্ব বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আশ্রয়হীন ৫ পরিবার

- আপডেট সময়ঃ ০৭:৩০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / ৪ বার পড়া হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের পাইকাপন গ্রামের ফুলবাড়ি এলাকায় সোমবার (৫ মে) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব। বৈশাখ মাসের কষ্টে তোলা ধান, মাথা গোঁজার ঘর, শিশুদের বইখাতা থেকে শুরু করে জমির দলিলপত্র—সবকিছুই আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়েছে পরিবারগুলো।
ক্ষতিগ্রস্তদের ভাষ্যমতে, বৈদ্যুতিক বাল্ব বিস্ফোরণের পরপরই দুলাল মিয়ার ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে চারটি পরিবার পুরোপুরি এবং একটি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভস্মীভূত পরিবারগুলো হলো—দুলাল মিয়া, নাহেন মিয়া, কাহেন মিয়া ও তুকাজ মিয়ার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাইমুদ্দিন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি অনুযায়ী, প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুলাল মিয়া বলেন, “পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। ধানঘর, নগদ টাকা, কাপড়চোপড়—সবই পুড়ে গেছে। এমনকি বাড়ির দলিল-এনআইডিও নেই এখন। প্রতিবেশীদের বারান্দায় পড়ে আছি। সরকার পাশে দাঁড়ালে আবার নতুন করে শুরু করতে পারি।”
নাহেন মিয়া বলেন, “আগুন এত দ্রুত ছড়ালো যে কিছুই নিতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি—জীবন পুড়ছে আগুনে।”
তুকাজ মিয়ার কণ্ঠেও হতাশা— “বৈশাখ মাসে কষ্ট করে যে ধান তুলেছি, তার বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। কিছুটা ধান বাঁচাতে পেরেছি। প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো পথ নেই।”
শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফজলে রাব্বানী চৌধুরী জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত তাদের পূর্ণ সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”