শ্যামলী- 59/1/A, বড়পাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ। ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জে গৃহকর্মী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি নির্যাতনেই প্রাণহানি

ষ্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরতলীর বাধনপাড়া এলাকায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।

বুধবার (১৪ মে) সকালে বাধনপাড়ার একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৭)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না।”

নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “ কদিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”

ঘটনার বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সুনামগঞ্জে গৃহকর্মী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি নির্যাতনেই প্রাণহানি

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জ শহরতলীর বাধনপাড়া এলাকায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।

বুধবার (১৪ মে) সকালে বাধনপাড়ার একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৭)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না।”

নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “ কদিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”

ঘটনার বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান সুনামগঞ্জ সংবাদকে বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।