নজরখালী বাঁধ ভেঙে টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করছে পানি

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করছে। পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে নজরখালী বাঁধটি ভেঙে যায়।
হাওরপাড়ের কৃষক ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার সাইট হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকায় এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হয় না। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার চার ইউনিয়নের ৮২ গ্রামের কৃষকরা প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। নিজেদের উদ্যোগে ফসল রক্ষায় নজরখালী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন কৃষকরা।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে ১২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ ধান কেটে তুলেছেন। বাকি ৫ শতাংশ ধানও দ্রুত কেটে নেওয়া সম্ভব হবে পানি পুরোপুরি উঠার আগেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, নজরখালী বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নয়। তাই কৃষকদের এখানে ধান চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশের সময় মা মাছ নিধন রোধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষ করেছেন এবং প্রায় সবাই তাদের ধান কেটে সংগ্রহ করে নিয়েছেন। ফলে বাঁধ ভাঙলেও ফসলের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের রংচি গ্রামের কৃষক আব্দুল হেলিম জানান, তিনি আগাম জাতের ধান চাষ করেছিলেন এবং বাঁধ ভাঙার আগেই ধান কেটে ঘরে তুলেছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, “নজরখালী বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নয়। তবে জানতে পেরেছি, কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে এই বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন।”