জাবিতে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি

- আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
- / ৯ বার পড়া হয়েছে।
ছবি: সংর্হীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছিল, তা লাঘব করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস ৭০০ একরজুড়ে বিস্তৃত হওয়ায় হল থেকে একাডেমিক ভবনে হেঁটে ক্লাশ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। বর্তমানে ক্যাম্পাসে প্যাডেলচালিত রিকশা থাকলেও তা সংখ্যা ও খরচের দিক বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়। এ কারণে বিকল্প ও টেকসই সমাধান হিসেবে পরিবেশবান্ধব ‘কার্ট গাড়ি’ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান। তিনি জানান, মার্চ মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে কার্টভ্যান চালু করা হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিচালিত ও পরিবেশবান্ধব ১২ আসনবিশিষ্ট ফোর-হুইলার দূর নিয়ন্ত্রিত। এই ইলেকট্রিক গাড়িগুলো শিগগিরই ক্যাম্পাসে চলা শুরু করবে। আমরা ১৫ মার্চ থেকে প্রথমে ৫টি গাড়ি দিয়ে আমাদের শাটল বাস সার্ভিস শুরু করতে পারব বলে আশা রাখছি। ধীরে ধীরে বাসের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হলগুলো থেকে যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে এবং লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেবে। এই বাস সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন করব।
কার্টগুলো দেখতে অনেকটা গলফ কার্টের মতো হলেও আকারে বড় এবং পরিবহণ ও টহল কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি-সাশ্রয়ী ও তুলনামূলক কম খরচে পরিচালনা করা সম্ভব। এছাড়া দ্রুত চার্জ হওয়ার কারণে দীর্ঘ পথ চলতেও কোনো সমস্যা হয় না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারানোর পর প্রশাসন ক্যাম্পাসে ওই ধরনের যান নিষিদ্ধ করে। ফলে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। শাটল বাস চালু করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়, ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। বিশেষ করে শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আরও বেশি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।